লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রচনা | Lakshmir Bhandar Prakalpa Essay in Bengali

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রচনা | Lakshmir Bhandar Prakalpa Essay in Bengali

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রচনা | লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প বাংলা রচনা | Lakshmir Bhandar Prakalpa Essay in Bengali | Lakshmir Bhandar Scheme Essay in Bangla | Laxmi Bhandar Essay | Laxmir Vandar Rochona | Lokkhir Bandar Rochona | Bangla Essay on Lakshmir Bhandar Prakalpa


লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প রচনা

ভূমিকা

যুগের পর যুগ ধরে অন্ধ গোঁড়ামি, আচার-ব্যবহার, সর্বস্ব ধর্ম, সামাজিক রীতিনীতির বোঝা দিয়ে প্রাচ্য পুরুষশাসিত সমাজ নারীকে বাধ্য করেছে অনুগত থাকতে। ভারতের নারীরা পণ্যের মত ব্যবহৃত হয়েছে যুগ থেকে যুগান্তরে। মধ্যযুগীয় সতীদাহ প্রথা, কৌলিন্য প্রথা, বহুবিবাহ, পণপ্রথার মতো জঘন্যতম নারী বিরোধী কার্যকলাপের কালো ছায়া আধুনিক বিশ্বেও অমলিন নয়। নারী শোষণের মূলভিত্তি তার অর্থনৈতিক অক্ষমতা। নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এলে নারী শোষণের পথ রুদ্ধ হবে। এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের প্রাথমিক আয়ের সংস্থান নেই। সেসব ক্ষেত্রে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের আলোকরেখা দেখানোর প্রয়াস করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার” প্রকল্পটি চালু করে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কি

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের প্রাপ্তবয়ষ্ক মহিলা সদস্যদের জন্য ন্যূনতম মাসিক আর্থিক সহায়তা প্ৰদান প্রকল্প। এইরূপ প্রত্যেক তপশিলি জাতি ও আদিবাসী জনজাতি পরিবারের মহিলা মাসিক ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকা সহায়তা পাবেন।

যোগ্যতার মানদন্ড

২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের যেকোনো পরিবারের মহিলা সদস্য কোনো সরকারি চাকুরি থেকে মাসিক উপাৰ্জন করেন না, এই সকল নারীরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা পাবেন।

আবেদন করার পদ্ধতি

আবেদন পত্রটি সংশ্লিষ্ট এলাকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, পৌর কর্পোরেশন থেকে পাওয়া যেতে পারে এবং নিম্নলিখিতভাবে জমা দিতে হবে—
১। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের স্ব প্রত্যায়িত ছবি।
২। আঁধার কার্ডের স্ব প্রত্যায়িত ছবি।
৩। তপশিলি জাতি আদিবাসী জনজাতির শংসাপত্রের স্ব প্রত্যায়িত ছবি।
৪। আবেদনকারীর ব্যাংকের পাশবই এর স্ব প্রত্যায়িত ছবি।
৫। আবেদনকারীর পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো।

READ MORE  সবুজ সাথী প্রকল্প রচনা | Sabooj Sathi Prakalpa Essay in Bengali

সুবিধা

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুফল মিলবে হাতে হাতে। মহিলারা সসম্মানে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে। অসহায়ভাবে কোনো নারীকে আত্মহননের দিন গুনতে হবে না। বিধবাদের সমাজে অবহেলিত হতে হবে না। শুধু তাই নয় সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর হাতে টাকা গেলে সাধারন ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।

সমস্যা

সরকার জনদরদী হতে গিয়ে অনুৎপাদক ক্ষেত্রে বেশি ব্যয় করলে প্রকৃত উৎপাদনের ক্ষেত্র ব্যাহত হতে পারে। মানুষ বিনা শ্রমে অর্থনৈতিক সুবিধা পেলে কর্মবিমুখ হতে পারে। এমনকি এই সব ক্ষেত্রে সরকারি টাকা ব্যয় হলে নতুন করে উন্নয়নের ক্ষেত্র থেকে রাজ্য বঞ্চিত হতেপারে।

উপসংহার

নারীর সম্মান বজায় রাখার জন্য একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসেবামূলক প্রকল্প চালু করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প”এটি। যাতে নারীরা মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে তার সদর্থক প্রয়াস।

Leave a Comment

error: Content is protected !!
Scroll to Top